ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য উম্মোচন গবেষণা শুরু নোবিপ্রবিতে

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক ল্যাবে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উম্মোচন গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনার টিকা উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে নোবিপ্রবি এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে ১০০টি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য উম্মোচন কার্যক্রম চলছে।

আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোবিপ্রবি এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রমের সার্বিকভাবে যুক্ত আছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড: মো. দিদার-উল-আলম, নোবিপ্রবি অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ,কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহম্মদ বাহাদুর এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেল্থ এন্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন প্রফেসর হাসান মাহমুদ রেজা।

নোবিপ্রবি এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৩০টি পজিটিভ নমুনার আরএনএ এক্সট্রাকশন করে সিডিএনএ তৈরি করা হয়। এরপর সেটি নোবিপ্রবি থেকে পাঠানো হয় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। আর এতেই সাফল্যের দেখা পান গবেষকরা। ইতিমধ্যে ৮টি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য সম্পন্ন হয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সম্মিলিত গবেষনা কার্যক্রম করোনার টিকা তৈরিতে সহায়ক হবে জানান গবেষকরা। এছাড়াও এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগ তথা বাংলাদেশে করোনা মহামারী হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, নোবিপ্রবি ল্যাবে চট্টগ্রাম বিভাগ তৎসংলগ্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসের উৎস, জীনগত পরিবর্তন, জীবন রহস্য উম্মোচন এবং পরবর্তিতে এই ভাইরাসের টীকা উৎপাদন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১১ মে, ২০২০ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের অনুমোদনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনুদানে নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আরটি পি সি আর মেশিনে করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালু করা হয়। ল্যাবে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার দশটি উপজেলার করোনার নমুনা শনাক্তকরণ সম্পন্ন করা হয়। ইতোমধ্যে ল্যাবে ১৬ হাজার ৮৭৬টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজার ৮১৫ টি নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত নোবিপ্রবি কোভিড ল্যাবের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য প্রেরিত নমুনা পরপর দুইবার আইইডিসিআর কর্তৃক শতভাগ সঠিকবলে প্রমাণিত হয়েছে ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এম আই এস

সংবাদটি শেয়ার করুন