গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একুশে ফ্রেবুয়ারি লাইব্রেরি ভবন থেকে প্রাথমিকভাবে ৯১ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা রেজিস্ট্রার মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ জানালেও পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শক শেষে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হবার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ১১ আগস্ট,২০২০ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মত পরিসর থেকে এতগুলো কম্পিউটার চুরি হওয়া অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতা এ ঘটনা জন্য দায়ী। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন- লাইব্রেরীয়ান ও নিরপাত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের উপরই বর্তায়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ঈদ-উল-আযহার ছুটি চলকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ জন গার্ডের ২০ জনই অনুনোমোদিত ছুটিতে ছিলেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী হিসেবে চাকরি বিধি আইনে নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের এহেন অদায়িত্বশীল ও উদাসীন ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ চুরির মত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। “
পরিশেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, “কম্পিউটার চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির উপর আস্থা রাখছি। আশা করি তদন্ত কমিটি দ্রুততম সময়ে উক্ত ঘটনা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষায় ব্যর্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর অন্যথায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ক্রয় করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষায় ব্যর্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাধ্য করবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে আরও একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটলেও কাউকেই শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
আনন্দবাজার/শাহী/আকীক