বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে চুরির ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই এবার চুরির ঘটনা ঘটলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর কম্পিউটার ল্যাবে থাকা ৯১ টি ডেক্সটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে ৷
গত ৯ আগস্ট, ২০২০ (রবিবার) রাতে রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “ঈদের ছুটি শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এসময় দেখা যায় লাইব্রেরীর পিছনের দিকের জানালা ভাঙা, ধারণা করা হচ্ছে কম্পিউটার গুলোয়া ভাঙা জানালা দিয়ে চুরি হয়েছে। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মোট ৯১ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে।”
চুরির ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।”
এ ব্যাপারে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, “চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঘটা, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) মহোদয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ তারিখ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন, তাই নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি অবশিষ্ট গার্ড ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বশেমুরবিপ্রবিতে কর্মরত এক কর্মকর্তা এমন ধরনের ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীদের অবহেলাকেই দায়ী করেছেন। এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের শুরুর দিকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও, নিরাপত্তাকর্মীদের এ বিষয়ে কোন ভ্রূক্ষেপ ছিল না বললেই চলে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর বহিরাগতদের যাতায়াতের বিষয়টি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। আরও বলেন, যদি এসব বিষয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সকলেই যথাযথ দায়িত্ব পালন করত তাহলে এমন চুরির ঘটনা আশা করি ঘটতো বলে মনে হয় না।
আনন্দবাজার/শাহী/আকিক