করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, পরীক্ষা ও ভর বন্ধ থাকায় রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালেয়ে বেতনের ৫০ শতাংশ কেটে বাকি অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ইর্স্টান ইউনিভার্সিটি ও অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলকে মার্চ মাসের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেতন পরিশোধ করা হলেও এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্টাফদের মার্চের বেতনের ৩০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে টিউশন ফি, ভর্তি ফি ও পরীক্ষার ফি না পাওয়ায় বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে দেশের শীর্ষমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়মিত তাদের স্টাফদের বেতন পরিশোধ করছেন। তার মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রয়েছে।
সারাদেশে ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সে সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক ও ১৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা উপার্জন হলেও ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির বলেন, বর্তমান সংকটের মধ্যে আমাদের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সকল স্টাফদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পারছে না। শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা ও নতুন ভর্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে আমরা সরকারের সকল মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আনন্দবাজার/শহক
