মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হয়।

সংগঠনটির সভাপতি নুরুন্নবী ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে ও রুমি নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.আনু মুহাম্মদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.আব্দুল মুইদ,ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল ও ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অনিক রায়।স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং ছাত্র ইউনিয়নের ক্যালেন্ডার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া ভাষার মাসে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে বিজয়ী দশজন শিক্ষার্থীর হাতে অতিথিবৃন্দরা পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এবং অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন,”বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যুদ্ধের মত ব্যাপার। অনেক পরিশ্রম করতে হয়, অভিভাবকদেরও অনেক দিনের পয়সা জমিয়ে রাখতে হয়, খরচ করতে হয়, তাদেরকে সময় বাঁচাতে হয়, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দৌড়াতে হয়, তার আগে কোচিং কারণেও একটা ধাক্কা থাকে। তারপরও নিশ্চয়তা থাকে না ভর্তি হতে পারবে কিনা। এসব অতিক্রম করে তোমারা যারা ভর্তির হতে পেরেছো নিজেদেরকে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে জীবনকে গড় তুলবে এবং মানুষের উপকারে আসবে।

তিনি আরো বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানে সর্বজনের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণের টাকায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী হিসেবে যদি কারো কাছে দায়ী থাকো তাহলে সেটি জনগণের কাছে দায়ী। এমনকি যে জনগণের অর্থে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত তাদের অনেকের ছেলে-মেয়ে এখানে ভর্তির সুযোগ পাইনা। আবার তোমরা যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছো এটা মনে করো না যে তোমাদের থেকে তারা কম মেধাবী। বরং প্রতিযোগিতার কারণেই অনেক পিতা-মাতা রয়েছে যাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অর্থসঙ্গতি তে পড়াশোনা করানোর সুযোগ পায় না। এজন্য সে জনগণের কাছে তোমরা যে ঋণী সেটাকে স্বীকার করতে হবে। তাহলেই তোমরা তোমাদের নিজেদের জায়গা সম্পর্কে বুঝতে পারবে। আমরা কথায় কথায় হ্যাঁ বলি। এই হ্যাঁ বলা অভ্যাস থেকে তোমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। অভিভাবক, শিক্ষক, নেতা সবকিছুতেই তোমরা জেনে বা না জেনে ভুল হলেও হ্যাঁ বলো। এ অভ্যাস ত্যাগ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্যায়, নিপীড়ন, দুর্নীতিকে না বলা এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই হচ্ছে তারুণ্যের শক্তি।”

আরও পড়ুনঃ  কালিগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দেড়শ' বছরের শিশু একাডেমী

 

আনন্দবাজার/এফআইবি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন