চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একাউন্টিং বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নেতৃত্ব কে দিবে এই নিয়ে বিশ্ববিদালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আাহত হয়েছেন।
বিবাদমান পক্ষ দুইটি হলো চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপিত রেজাউল হক রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী।
রোববার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় লেডিস হলের ঝুপড়িতে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরে পর থেমে থেমে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সংঘর্ষ ও পাল্টা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত নয় জন আহত হয়। আহতরা হলেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান , মিলন, পাভেল ও সুমন মির্জা এবং সিএফসি পক্ষের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভােেগর মেহরাব উদ্দিন মিনহাজ , একই শিক্ষাবর্ষের আইন বিকভাগের মাহফুজ আল মামুন , ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শোয়ায়েব আখতার সুলভ ও ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অর্ক ।
জানা যায় , দুপুরে লেডিস হলের ঝুপড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ২০১৮-১৯ সেশনের নেতৃত্ব নিয়ে দুুই পক্ষের কর্মিদের মধ্য তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীদের মারধর করে সিএফসি পক্ষের কর্মীরা। এর জের ধরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়িতে সিএফসির কর্মীদের মারধর করে সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা।
পরে সেখান থেকে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে । এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা দাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় তাাদের হাতে বিভিন্ন রকম দেশিয় অস্ত্র দেখা যায়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন পুলিশের সহয়তায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনা স্থল থেকে একটি রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে উভয় হলের প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপিত রেজাউল হক রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন , জুনিয়রদের মধ্য ভুল বুঝাবুঝি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সিনিয়ররা বসে বিষয়টি সমাধান করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাাসান বলেন, আমরা দুই পক্ষকেই ডেকেছি। তাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
আনন্দবাজার/শাহী