দিল্লিতে বিজেপি আরএসএস কর্তৃক সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যত বাড়বে, সরকারের শক্তি তত বাড়বে। এ দাঙ্গা আসলে হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্র্রদায়িক দাঙ্গা নয়, এটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া মাত্র।
মানববন্ধনে আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, রাষ্ট্রে টিকে থাকার জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে হিন্দুইজম কায়েম করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। ভারতে যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমাদের বাংলাদেশে যেন এ সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।
গণশিল্পী সংস্থা রাবি শাখার সদস্য মামুন অর রশিদ বলেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হত্যাকান্ড চালানো হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনারা সমাবেশে অসাম্প্রদায়িকাতার বক্তব্য দেবেন আর দেশের ভিতরে সাম্প্রদায়িকাত উস্কে দিয়ে সংখ্যালঘুদের উপর হত্যাকান্ড চালাবেন তা হতে পারেনা। এ প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা ভারতের হত্যাকান্ড বন্ধ করে সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচয় দিন।
আরও পড়ুনঃ চবি সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির নেতৃত্বে ফয়সাল-সাজ্জাদ
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মোর্শেদুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিক জোটের সাথে সংহতি জানিয়ে আমি ভারতের হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলতে আমরা দুটি দলের মধ্যে উদ্ভুদ সমস্যাকে বুঝি। কিন্তু ভারতে যে হত্যাকান্ড চালানো হচ্ছে তা আসলে মোদি সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রচেষ্টা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়।
রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন রাবি ড্রামা এসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম কুমার, গণশিল্পী সংস্থার সদস্য মামুন অর রশিদ, ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, তীর্থক নাটকের সদস্য আব্দুল মোতালেব ইমন, এসোসিয়েশন ফর কালচার এন্ড এডুকেশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুন্না প্রমুখ।
আনন্দবাজার/শাহী