রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাপের মুখে অব্যহতি যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষকের

চাপের মুখে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আলী রেজওয়ান তালুকদার। সান্ধ্য কোর্সের এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করার দ্বায়ে অভিযুক্ত হন তিনি। অব্যহতি চাওয়ার প্রেক্ষিতে তার আবেদন গ্রহণ করে ঐ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাসকে বিভাগীয় প্রধান করে এক অফিস আদেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের।

গত ১৫ জানুয়ারি আলী রেজওয়ান তালুকদারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ তুলে বিভাগটির সান্ধ্য কোর্সের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টিকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদীত বলে বিভাগের দুই শিক্ষককে এর মদদ দাতার অভিযোগ তুলে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই ছাত্রীকে মানসিক ভারসাম্যহীন, পরকীয়ায় আসক্ত, তিনি (ছাত্রী) টাকার বিনিময়ে বড়লোকের শয্যাসঙ্গী হয় বলেও সবার সামনে উপস্থাপন করেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং তার শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ভিন্ন ভিন্ন আবেদন করে দুই শিক্ষক এবং ঐ শিক্ষার্থী। এছাড়াও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্স থেকে অব্যহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সহকর্মী শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য এবং তাদের সাথে অসদাচারণসহ একাডেমিক বিভিন্ন সিদ্ধান্তে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে বিভাগের শিক্ষকদের স্বাক্ষরসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন শিক্ষকবৃন্দ।

আরও পড়ুনঃ  এক্সিলেন্স বাংলাদেশ ও কর্ম একসাথে আয়োজন করছে জব হান্ট

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাপে পড়লে এবং প্রশাসন অভিযুক্তের পক্ষ নিচ্ছে এমনটা গুজব উঠলে অভিযুক্ত শিক্ষককে উপাচার্য অব্যহতি নিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। তারই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যহতি চেয়ে আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি গ্রহণ করে তাকে পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাসকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে এক অফিস আদেশ প্রেরণ করেন রেজিস্ট্রার।

আনন্দবাজার/শাহী

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন