ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাবির লোকপ্রশাসন বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৫তম ব্যাচ(২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের) নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমীক ভবন-ডি এর ৪০২২ নাম্বার কক্ষে বিভাগের সমিতির আয়োজনে এ নবীনরণ অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৫ সালে পলিটিকাল স্টাডিস ও পাবলিক এ্যাফেয়ার্স বিভাগকে ভেঙ্গে যাত্রা শুরু করে লোকপ্রশাসন বিভাগ। ২০০৬ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষাবর্ষ ২০০৫-০৬ এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু বিভাগটি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিতর্ক ও অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এগিয়ে আছে বিভাগটি। ২০০৭ সালে মাত্র ২১জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১ম বারের মত স্নাতকোত্তর চালু করে বিভাগটি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম, ড. শামীমা তাসনিম, ড. শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম, কানিজ ফাতেমা, মোস্তফা কামাল ও সাবিনা ইয়াসমিন সহ এলামোনাই সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এবং লোকপ্রশাসন সমিতির সদস্য সহ বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের স্বাগত জানিতে বক্তব্য রেখে বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা নবীনদের সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত তবে তোমাদের ও সহযোগিতা করতে হবে আমাদের। নবীনরা এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পিতামাতার প্রতি দায়িত্ববোধ রাখতে হবে। দায়িত্ববোধ রাখতে হবে দেশের সাধারণ মানুষদের প্রতি। কারণ তাদের পড়াশোনার টাকা আসে ওই সাধারণ মানুষদের করের টাকায়। এখানে নবীনদের স্বাধীনতা আছে তবে এ স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ, সমাজ ও বাবা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ বোধ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং নিষিদ্ধ তাই কেউ ডাকলেই যত্রতত্র যাওয়া যাবে না। কেউ যদি র‍্যাগিং এর স্বীকার হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের অবহিত করবে সবাই। আমাদের বিভাগের অনেক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীই এই বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আছে। এটা নবীনদের জন্য একটা অনুপ্রেরণা হতে পারে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকই নয়, অনেকে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও নিযুক্ত আছেন। আমাদের বিভাগের স্ট্রাকচার সংকীর্ণ হলেও আমাদের কারিকুলাম যথেষ্ট এডভান্সড। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কারিকুলাম অনুসরণ করে।”

আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে তবেই সফলতা আসবে। নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তবেই সবাই সহজভাবে গ্রহণ করবে। আমাদের বিভাগের ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। যেকোনো শিক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যায় সর্বাত্মক সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে নবীনদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিভাগের বর্তমান প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেন।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন