ঢাকা | শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের  আন্দোলন

৩ দফা দাবিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ (২৬ জানুয়ারি)  সকাল ১০ টায় পরিবহণ সংকট, উপাচার্যের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস না দেওয়া, প্রকট হারে আবাসন সংকট, পরিবহণ চালক নিয়োগে অনিময়ের অভিযোগ, মসজিদ-উপাসনলায়ের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা প্রকার স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয় বাংলা ভাস্কর্যের’ সামনে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস, আবাসিক হল, অডিটোরিয়াম, উপাসনালয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনো নতুন পুরাতন কোন বাস সংযুক্ত করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ দপ্তরে। মূলত তার কোনো প্রতিশ্রুতিই তিনি পালন করেননি বলে জানান আন্দোলনরতরা।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহত্তর আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন (উপাচার্য) গতবছর নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৪টি বাস আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাসের দেখা পেলাম না। অবশ্য শুধু বাসই নয়, মসজিদ-মন্দির, আবাসিক হল, অডিটোরিয়ামসহ আরো অনেক কিছুরই প্রতিশ্রুতি দিলেও আদতে বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান তারা।
তারা আরও বলেন, পরিবহণ চালক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য নিয়মকে তোয়াক্কা না করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব অনিয়ম মেনে নেওয়া কাম্য নয়।তাই তালা দিয়েছি, দিতে বাধ্য হয়েছি। আর কোনো মৌখিক আশ্বাস মানা হবে না, যতক্ষন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে লিখিত জবানবন্দি আসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। উল্লেখ্য, ১৩ তম ব্যাচের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে মাঠে নেমেছে।
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে টানা ৪ ঘন্টা জয় বাংলা ভাষ্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করলেও প্রশাসন থেকে কেউ আশ্বস্ত করতে না আসায় শেষমেষ উপাচার্য বাংলো অবরোধ করতে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করতে আসেন। এরপর উপাচার্য এসে শিক্ষার্থীদের প্রবল আন্দোলন ও দাবিদাওয়ার তোপেড় মুখে পড়েন। তিনি বলেন, উপাচার্য হলেও সবকিছু আমার মর্জিমাফিক হয় না। এরজন্য সময়ের প্রয়োজন। আজকের আন্দোলনের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে লিখিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এ ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা ৫টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে এবং ৫টার পর বাকি কার্যক্রম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি হলের কাজ চলমান। দুই বছর আগে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আনন্দবাজার/তাঅ

সংবাদটি শেয়ার করুন