খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৩ সাল থেকে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির কথা থাকলেও, গত তিন বছরে তা কার্যকর হয়নি। যদিও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ডোপ টেস্টের প্রত্যয়ন ইতোমধ্যেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মাদকবিরোধী এক শোভাযাত্রায় তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও এটি বাধ্যতামূলক করা হবে। পরবর্তী সময়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের আওতায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে তিন বছর পার হলেও সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। আগামী ২০ জুলাই শুরু হচ্ছে নবীনদের ক্লাস, কিন্তু ডোপ টেস্ট বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ মোশাররফ বলেন, ডোপ টেস্ট চালুর ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তার কোনো কার্যক্রম আমরা দেখিনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মাদকের প্রভাব বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষার্থী এম রিয়াজ বলেন, মাদকাসক্তি নিয়ন্ত্রণে ডোপ টেস্ট কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে। যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. কানিজ ফাহমিদা বলেন, ডোপ টেস্টের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা যায় কেউ মাদকাসক্ত কি না। এটি ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, শুধু স্নাতক প্রথম বর্ষ নয়, বরং স্নাতকোত্তরসহ সব শিক্ষার্থীর পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করব। এ বছরেই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।