ক্রাফট ইনস্ট্রাকটর পদে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে চট্টগ্রামের ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এসময় কক্সবাজারমুখী পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে পড়ে। শহরের অন্যতম ব্যাস্ততম মোড়ে অবরোধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
দুপুর ১২টা থেকে হঠাৎ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ভোকেশনাল ও পলিটেকনিক থেকে পাস করা প্রকৌশলীদের একই গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি করতে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে নতুন করে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা রাখা হয়েছে। অথচ মাত্র ক’মাস আগেই কোটা প্রথা বাতিল করা সহ বৈষম্য বিরোধী দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন করেছে শিক্ষার্থীরা। এই বৈষম্য নিরসনের পাশাপাশি আরো ৬ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসব দাবির মধ্যে, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশল’ রাখা, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দেয়া, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য সব বিভাগীয় শহরগুলোয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করা অন্যতম। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস না আসা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যহত থাকবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
পুর্ব ঘোষণা ছাড়া নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এলাকায় হঠাৎ করে অবরোধ করায় পুরো শহরে তৈরি হয় তীব্র যানজটের। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।