গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে না বেরিয়ে আসতে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে (ভিসি) জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। তারা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপিও দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের চিঠিও পাঠিয়েছে।
সবশেষ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে একটি জরুরি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন, এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আরও বলা হয়, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পুনরায় গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে এ পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা-সরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ভিসিদের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, তিনটি গুচ্ছ পদ্ধতির মধ্যে দুটি গুচ্ছ থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি বহাল রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানায়।