ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা লঙ্ঘন করায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে মাউশি।
এ ঘটনায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় ভর্তি চ্যালেঞ্জ করে ভর্তিচ্ছু অপর দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিট আবেদন করেছিলেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশির পক্ষে আজ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কাজী মইনুল হাসান বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে মাউশির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে এবং আগামী ৬ মার্চের আগে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত। তিনি বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি নীতিমালায় বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্ম এমন শিক্ষার্থীরা ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
তবে মাউশি দেখেছে, ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর জন্ম ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এবং ভর্তির বয়সসীমার নীতি লঙ্ঘন করে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা স্কুলের পক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ রফিউল ইসলাম বলেন, মাউশির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভিকারুননিসার গভর্নিং বডি বৈঠক করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাউশির সঙ্গে পরামর্শ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে বেইলি রোড, আজিমপুর শাখা, ধানমন্ডি শাখা ও বসুন্ধরা শাখায় ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছে।