জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত ফজিলাতুন্নেসা আবাসিক হলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে হলের আট তলার ৮১০ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে সিগারেটের অ্যাশট্রের আগুন থেকে এর সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) হলের ৮১০ নং কক্ষ থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ওয়ার্ডেন ও কর্মকর্তাদের জানান হলের ছাত্রীরা। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হন হলের ওয়ার্ডেন ড. আফসানা হক ও কর্মকর্তারা।
প্রত্যেক্ষর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে নয়টার দিকে ৮১০ নাম্বার কক্ষ থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান পাশের রুমের ছাত্রীরা। কক্ষের জানালা দিয়ে ছাত্রীরা দেখতে পান ভেতরে খাটের তোষক এবং কম্বলে আগুন লেগে পুরো কক্ষ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়ার্ডেনের উপস্থিতিতে কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তখন খাটের পাশে একটি অ্যাশট্রেতে সিগারেটের ২০-৩০ টি সিগারেটের খোসা দেখতে পান তারা। সে থেকে ধারণা করা হচ্ছে সিগারেটের ধোঁয়া থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্শ্ববর্তী কক্ষের বাসিন্দা এক ছাত্রী জানান, গতকাল রাত থেকেই আমরা গন্ধ পাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো বাইরে থেকে আসছে। কিন্তু সকালে দেখি রুমের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে আমি নিচে নেমে ম্যামকে জানিয়ে মামাদেরকে নিয়ে এসেছি।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ইতি বলেন, হলের গুটি কয়েকজন মেয়ে সিগারেট খায়, নিজের রুমে। কিন্তু তাদের রুমমেটদের সমস্যা হওয়ায় তারা হল কর্তৃপক্ষকে জানায়, তারপর হল থেকে বলা হয় যাতে রুমে কেউ হলের অভ্যন্তরে সিগারেট না খায়। কিন্তু তাতেও কিছু ছাত্রী শুনছে না। ২-১জন বিরক্ত হয়ে রুম ছেড়ে অন্য রুমে উঠেছে।
হলের ওয়ার্ডেন সহযোগী অধ্যাপক ড. আফসানা হক জানান, সকালে মেয়েরা জানানোর সাথে সাথেই আমি আমি চলে এসেছি। তারপর সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নেভানো পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেই রুমের মেয়েরা তখন হলে ছিল না এবং রুম তালাবদ্ধ ছিল। প্রভোস্টের উপস্থিতিতে আমরা বসে এটা একটা ব্যবস্থা নিব।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছায়েদুর রহমান বলেন, হলের ভেতরে আগুন লাগার ঘটনা শুনেছি। আমি একটু অসুস্থ থাকায় আজকে অফিসে যাইনি। আগামীকাল ওয়ার্ডেন ও ছাত্রীদের সাথে বসে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় এরপর আমি বিস্তারিত জানাবো।