ঢাকা | রবিবার
২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুচ্ছে কেন্দ্রীয় মেরিট ও মাইগ্রেশন চালুসহ চার দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মাইগ্রেশন-মেরিট লিস্ট চালু ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের পছন্দের বিষয়ে আসন খালি থাকা স্বত্তেও সেখানে যাওয়ার সুযোগ কেন দেওয়া হবেনা। আমরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়ের সাথে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি,স্মারকলিপি ও ফোনে যোগাযোগ করেও তেমন কোন সাড়া পাইনি৷ হাজার হাজার মেইল করার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একদিন মেইলের রিপ্লাইয়ে বলেছেন,আমরা যে যেখানে বিষয় পেয়েছি সেখানেই থাকতে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ২২০০ আসন ফাঁকা রয়েছে৷ গত ২৩ সেপ্টেম্বর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবসাইটে এক নোটিশে জানানো হয় মাইগ্রেশনের জন্য যারা ইচ্ছুক তারা মাইগ্রেশন অন রাখবে,আর কেউ অফ করতে চাইলে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফ করতে হবে। দুই প্রকার মাইগ্রেশন (বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন) সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু গত সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের কেন্দ্রীয় মাইগ্রেশন দরকার। নাহলে আমরা আমাদের পছন্দের বিষয় পাবোনা৷

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, স্পট এডমিশনের জন্য পিছন থেকে এসেও কম নাম্বার নিয়ে ভালো বিষয়ের আসন খালি থাকায় সেটি তারা পেয়ে যাবে৷ যাতে মেধার অবমূল্যায়ন হবে৷ এছাড়াও স্পট এডমিশনে অস্বচ্ছতার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছে এক মাস হলো৷ আমরা মাইগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে মাইগ্রেশন ও মেরিট বহাল চাই। এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার। আমাদের মাইগ্রেশন দিয়ে আসনগুলি পূর্ণ করা হোক এবং মেরিট দিয়ে ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসন পূরণের সুযোগ দেওয়া হোক।

শিক্ষার্থীদের অপর দুইটি দাবি হলো, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু এবং গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মাইগ্রেশন বহাল রাখা।

এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায় নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন