ঢাকা | শনিবার
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলছাপের বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

জলছাপের বার্ষিক পুনর্মিলমী অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন জলছাপের (জলঢাকা ছাত্র পরিষদ) বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা চত্বরে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মাহফুজুল হক লেলিন। এছাড়াও, জলছাপের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মীরগঞ্জ হাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জলঢাকা রাবেয়া চৌধুরি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মহন্ত, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ফারুক শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ।

জলঢাকা রাবেয়া চৌধুরি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মহন্ত বলেন, আজকে এখানে আসতে পেরে আমি খুব আনন্দিত, উদ্বেলিত। আমি মনে করি জলঢাকার আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এখন শুধু সামনে যাওয়ার পালা।

মীরগঞ্জ হাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, আমার মতো একজন মানুষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বসে কথা বলার সুয়োগ হওয়ায় জন্মের সাধ পূরণ হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানে এসে যে মেধার পরিচয় দিয়েছে এটাকে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। সর্বপরি নিজের এলাকা ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি গ্রাম থেকে কিভাবে আরও বেশি পরিমানে শিক্ষার্থী চান্স পায় সেটার পরিকল্পনা নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

জলছাপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, জলছাপের নাম বলতে গেলে একজনের নাম বলতে হয়। তিনি তাহমিদ কাওছার ভাই। ওনার পরিশ্রমের ফল আজকের এই জলছাপ।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আমাদের সংগঠনের একটা গঠনতন্ত্র আছে; যে কারণে এখানে কারো অতিরিক্ত প্রভাব খাটানোর সুযোগ নেই।আমরা প্রতি বছর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকি। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনগুলো থেকে অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে।

সাবেক সভাপতি ফারুক শেখ বলে, ঢাকায় আমাদের জলছাপের উৎসবে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা স্যারের উপস্থিতি আমাদের আনন্দ কে দ্বিগুণ করেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মাহফুজুল হক লেলিন বলেন, মানুষ কে উৎসাহিত করার সাথে সাথে নিজেকে উন্নত করে গড়ে তুলতে হবে। সবার আগে নিজের উন্নয়ন করতে হবে। তোমাকে যেন মুখ দিয়ে সবকিছু বলতে না হয়। আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষের কিছু ভুল থাকে এগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে স্বপ্নের তীর্থভুমি। সেই তীর্থে আমাদের উত্তর বাংলার পিছিয়ে পড়া অঞ্চল জলঢাকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে, আমরা তাদের সাথে ভাব বিনিময় করার সুযোগ পেয়েছি; নিশ্চয়ই এটা একটা স্মরণীয় সন্ধ্যা। আমার জীবন সাহাহ্ণে এ কথা অনেকদিন মনে থাকবে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমার ছেলেমেয়রা এখান থেকে পড়াশোনা করে, এখানকার জ্ঞান লব্ধ করে নিজেকে আলোকিত করবে; নিজেকে আলোর মশাল হিসেবে গড়ে তুলবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছিলেন; মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রতিক দিয়েছিলেন। শোকাবহ ও মর্মান্তিক ৭৫ পরবর্তী আমার এলাকায় কেউ নৌকার কান্ডারি হতে পারেন নাই। আমি হতে পেরেছিলাম সেই কান্ডারী। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া, অনেক গৌরবের।

এসময় তিনি সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলেন এবং সামনেও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে জলছাপের সাবেক ও বর্তমান সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন