মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর ৩ হাজার ৭৮৯টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৬৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিলেও এর মধ্যে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করতে পারেনি কোনো শিক্ষার্থী।
গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৮টি । সে হিসাবে এ বছর অকৃতকার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৩২টি৷
সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তরের পর সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
দীপু মনি জানান, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এর মধ্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০। আর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গতবার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল; জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জনে।
সব শিক্ষাবোর্ডে এ বছর গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।
আনন্দবাজার/কআ