ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষে ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরপর কর্মসূচীর ফলে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবি শাখা ছত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেলের এক সহকারী । আহতরা রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি আছেন বলে তিনি জানান ।
একই দিনে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুটি সংগঠন (ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে দেখা করা নিয়ে এ সংঘর্ষে জড়ায়৷ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গনতন্ত্র তোরণ গেটে এ সংঘর্ষ হয়।
সোহেলের সহকারীর ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বনির্ধারিত সময় (বিকেল ৪টা ৩০) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য ঢাবি শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত ৫০ থেকে ৬০ জন নেতাকর্মী বিশ্বিবদ্যালয়ের মুক্তি ও গনতন্ত্র তোরণ গেটে একত্রিত হতে থাকে। এসময় ৪ টা ২০ মিনিটের এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয় এবং বাকি সবাই হামলার শিকার হই।
তবে ছাত্রলীগের দ্বারা হামলা হওয়ার বিষয় টি অস্বীকার করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই আসতে পারে। ছাত্রদলও আসবে। কিন্তু তাদের উপর কে বা কারা হামলা করলো তার দায়ভার কেনো ছাত্রলীগের উপর পড়বে? ওরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের রাস্তা বন্ধ করেছিল এজন্য তারা ওদের প্রতিহত করেছে। ছাত্রলীগ এখানে জড়িত নেই।
তিনি বলেন, আমি শুনেছি তারা (ছাত্রদল) নাকি ৬ টি উপদলে বিভক্ত। দলীয় অভ্যন্তরীন ক্রন্দলনের কারণেও তো হামলা হতে পারে।
সাংবাদিকরা হামলায় ছাত্রলীগের কর্মীদের সম্পৃক্ত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে সনজিত জানায়, আমাদের কোনো কর্মী যদি এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকে এবং তার যদি কোনো প্রমান মিলে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টি (হামলার) আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আজ সারাদিনে অনেক প্রোগ্রাম ছিল। একটু আগে ছাত্রলীগের সদস্যরা দেখা করে গেছে। এরপর ছাত্রদলের সদস্যদের আসার কথা ছিল, আমি ওদের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু এখন জানতে পারলাম তারা নাকি আসতে পারে নাই।
এ ঘটনার ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকে না। আমরা এ ঘটনায় কারা সম্পৃক্ত তা বিস্তারিত জানার পর যদি ঘটনা আমাদের অধীনে থাকে; তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷