ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার গুনগত মানই আইইউবিএটি’র সফলতার মূল মন্ত্র

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে প্রায় দুই হাজার পাঁচশত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ৪ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা মিয়ান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

সমাবর্তনে কৃষি, ব্যবসায়, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক, সিভিল, কম্পিউটার, মেকানিক্যাল, ইকনোমিক্স, ট্যুরিজ্ম এন্ড হসপিটালিটি এবং নার্সিং বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তনে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়ার ককেশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস এর বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কখা শেঞ্জেলিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং আইএসি যুক্তরাজ্য এর রেজিডেন্ট জাজ ও ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসুল জুলিয়ান ফিলিপস।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান জুবের আলিম। এ সময় তিনি নতুন গ্র্যাজুয়েটদের সাধুবাদ জানান, পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে মাতৃভূমির উৎকর্ষ সাধন কাজ করার আহব্বান জনান এবং আইইউবিএটি’র হাত ধরে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও অর্জন তুলে ধরেন।

দীপু মনি শিক্ষার গুনগত মানই আইইউবিএটি’র সফলতার মূল মন্ত্র বলে উল্লেখ করেন বলেন, আইইউবিএটি তার জ্ঞানভিত্তিক এলাকা উন্নয়ন: কমিউনিটি পর্যায়ে স্বনির্ভরতার একটি পদক্ষেপ এর আওতায় প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন পেশামুখী গ্রাজুয়েট তৈরি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অর্থের কারণে ভর্তি নিরুৎসাহিত করা হয় না এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ৫৩০টি উপজেলা থেকে শিক্ষার্থী বা গ্রাজুয়েট আছেন। এটি বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতিতে নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ।

তিনি দেশ ও জাতির স্বাধীনতায় এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে এবং দেশে অনেক বিজ্ঞান শিক্ষা ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অধ্যাপক ড. কখা শেঞ্জেলিয়া বলেন, একবিংশ শতাব্দির জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজে জ্ঞানই সঞ্চালক আর সততাই প্রথিবীর অন্যতম সম্পদ। এ সময়ের অফুরন্ত সুবিধা ও অসুবিধা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভূতপূর্ব প্রতিযোগিতা যার মুখোমুখি আমরা কখনই হই নি তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

জুলিয়ান ফিলিপস আইইউবিএটি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মিয়ানের সুদুপ্রশারি পদক্ষেপ এবং আইইউবিএটি’র উত্তর উত্তর অগ্রগতির প্রসংসা করেন। তার সন্তান লিও ফিলিফস আইইউবিএটি’তে ভিজিটিং ফেলো হিসেবে অনেকদিন ছিলেন যা তাঁর কর্মজীবনের উন্নয়নে অনেক অবদার রেখেছে বলে জানান। এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন