বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিভাগ পরিবর্তনে হয়রানির শিকার শিক্ষকরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এবং প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বিভাগ পরিবর্তনের কারণে ইনডেক্স ট্রান্সফার করতে পারছেন না অনেক শিক্ষক। এ ব্যাপারে শিক্ষকরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রতিটি স্থানে তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

জানা যায়, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য এনটিআরসিএ-এর ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিধিমতে ইনডেক্স নম্বর দিয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ তাদের এমপিওভুক্ত বিভিন্ন মাদরাসায় চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করে। কিন্তু ওসব প্রতিষ্ঠানে পূর্বের ইনডেক্স নিয়ে যোগদান করতে পারছেন না।

মাদরাসা অধিদপ্তর জানায়, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট দুটিতে ডেটালিংক না থাকায় পূর্ববর্তী ইনক্রিমেন্ট বহাল রেখে সরাসরি এমপিওভুক্তি করা যাচ্ছে না। মাদরাসায় আবার নতুন করে এমপিওভুক্ত হতে হবে।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই চাকরির অভিজ্ঞতা ৩ থেকে ৫ বছর। অনেকে ৩-৪টি ইনক্রিমেন্ট পেয়েছেন। তাদের এ ইনক্রিমেন্ট বহাল না থাকলে আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির শিকার হবেন। তাছাড়া চাকরির সময়কালে জ্যেষ্ঠতা ও অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

আরও জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ ধরনের সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই পরিপত্র জারি করে। তাছাড়া জনবল কাঠামো-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সংশোধিত) মাদরাসার অনুচ্ছেদ নং ১১.৮-এ বলা আছে ‘ইনডেক্সধারী শিক্ষক-কর্মচারী এক ধরনের প্রতিষ্ঠান হতে অন্য প্রতিষ্ঠানে সমপদে সমস্কেলে চাকরিতে যোগদান করলে পূর্ব অভিজ্ঞতা গণনাযোগ্য হবে।

আরও পড়ুনঃ  ক্লাসের সবাই পেলো সমান নম্বর!

শিক্ষকরা দাবি করছেন, ইনক্রিমেন্ট বহাল রেখে মাদরাসা অধিদপ্তরের ডেটাবেস সফটওয়্যারটি আপডেট করতে হবে। অনলাইনে ইনডেক্স ট্রান্সফারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মাদরাসা অধিদপ্তর থেকে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে যে, কিভাবে শিক্ষকরা আবেদন করলে পূর্বের ইনডেক্স বহাল থাকবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা) হাবিবুর রহমান জানান, এটি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। আসলে নীতিমালায় বিষয়গুলো নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টা আছে। তবুও শিক্ষকদের এ সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সমাধানে কাজ করছে। কমিটির আহ্বায়ক বিস্তারিত বলতে পারবেন।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন