আগাম আলু চাষ, ক্ষেত পরিচর্যা এবং উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কৃষকরা। দেশের আগাম আলুর সিংহভাগ উৎপাদন হয় এ জেলায়। আগাম আমন ধান কাটার পর এখানকার কৃষকরা একখণ্ড জমিও পতিত রাখেন না।
মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এখানকার কৃষকরা উৎপাদিত সেভেন গ্র্যানুলা জাতের আগাম আলু চাষ করেছেন। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ায় খুশি আলু চাষিরা।
জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের খালিশা খুটামারা গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে এ বছর আলু চাষ করেছি। আলুর বয়স এখন ৫৫ দিন হয়েছে। আরও ১০ দিন পড়ে আলু তুলব। এবার আলু দাম বেশ ভালো।
তিনি বলেন, দুদিন আগে দেড় বিঘা জমির আলু তুলে বিক্রি করেছি ৯০ টাকা কেজি দরে। ওই আলু একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পোড়াকোট গ্রামের আলু চাষি লুৎফর রহমান বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে এবার আলু চাষ করেছি। আগাম আলুর দাম ভালো থাকায় এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করেছি ৮৫ টাকা কেজি দরে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার আগেই নীলফামারীতে আগাম আলু উঠে এবং আগাম বাজার ধরে লাভবান হন এখানকার কৃষকরা।
চলতি বছরে এ জেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টরে ২৫ দশমিক ৩৬ টন। এ জেলায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগাম আলু উঠবে।
সূত্র : সময়
আনন্দবাজার/ইউএসএস