ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিচু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় বাগান মালিকরা

দেশের অন্যান্য জায়গার মতো এবার গাজীপুরের শ্রীপুরে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে বাগান মালিকরা।

তারা বলছেন, প্রতি বছর লিচুর ফুল ফোটার পর বেপারিরা এসে লিচু বাগান কিনতেন। তারাই বাগান পরিচর্যা করতেন এবং ফল পাকলে বিক্রি করতেন। তবে এবার বেপারি না আসায় বাগান মালিকদেরই লিচু ঢাকার বিভিন্ন আড়তে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। তাই এ নিয়ে আর্থিক ও শ্রমিক সংকটে আছেন তারা।

শ্রীপুরের লিচু বাগান মালিক আফাজ উদ্দিন বলেন, আমার ৪৮টি লিচু গাছ রয়েছে। ফুল ফোটার পরই বেপারিদের কাছে লিচু বাগান বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিক্রির সময় দেশে করোনা ছিল না। কিন্তু এখন লকডাউনের ফলে বাইরের বেপারিরা এলাকায় আসতে পারছেনা। অনেক বাগান মালিক নিজেরাই কীটনাশক প্রয়োগ ও পাহারার ব্যবস্থা করছেন। এতে বাগান মালিকদের ভোগান্তি ও উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

আরেক বাগান মালিক নূরুল আলম বিএসসি বলেন, লিচুর ফুল ফোটার শুরুতে এলাকায় মধুর বক্স নিয়ে মৌচাষিরা আসতেন। তারা ফুল থাকাকালীন প্রায় ১৫ দিনের মতো মধু সংগ্রহ করতেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে লিচুর মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিও বাদ পড়েছে।

লিচু শ্রমিক হেলাল হোসেন বলেন, লিচু ফলনের চার মাস একটি গ্রামের বাগানগুলোতে কমপক্ষে ৪০০-৬০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। এবার করোনা পরিস্থিতি এ সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। বাগান মালিকেরা লিচুর দাম না পেলে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধে করতে কষ্ট হয়ে যাবে।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মাহবুব আলম জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বাগান মালিকেরা কৃষি বিভাগ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে নিজ উদ্যোগে পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন আড়তে লিচু বিক্রি করতে পারবেন। কৃষি বিভাগ এ ক্ষেত্রে সব প্রকার সহায়তা করবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন