ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের চা শিল্পে ব্যাপক ধ্বস এর আশংকা

করোনারসংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। এতে অচল অবস্থায় পড়েছে দেশটির চা বাগানগুলোর সব রকমের কার্যক্রম। ফলে চলতি বছর দেশটির চা কোম্পানিগুলো বড় ধরনের ধস নামতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা আশঙ্কা করছেন, এ ক্ষতির পরিমাণ পৌঁছতে পারে ২ হাজার কোটি রুপিতে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ইকোনমিক টাইমস।

করোনার মাহমারীর শুরুর দিকে ভারতের চা বাগানের স্বত্বাধিকারীরা জানিয়েছিলেন, দেশটির চা বাগানগুলোয়  করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম। ফলে প্রথম দিকে দেশটির চা বাগানগুলো খোলা রাখা রাখলেও পরবর্তী দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণায় চা বাগান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আর এর আওতায় পড়েছে ভারতের সবগুলো নিবন্ধিত চা এস্টেট যার সংখ্যায় ১ হাজার ৪২২টি। এছাড়া আড়াই লাখের বেশি মাঝারি ও ক্ষুদ্র চা উৎপাদনকারীও এ লকডাউনের কারণে ব্যবসা বন্ধ করতে হয়েছে।

টি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায়  জানান, এ মুহূর্তে সমগ্র ভারতবাসীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মহামারীর বিস্তার রোধে দায়িত্বশীল হওয়া। এ কথা মাথায় রেখেই টি এস্টেটগুলোআমরা বন্ধ রেখেছি।

ভারতের চা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ লকডাউনের জেরে দেশটির বাগানগুলোতে চায়ের উৎপাদন ১০ কোটি কেজি কমে আস্তে পারে। আর্থিক হিসাবে যার পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার কোটি রুপির মতো। বশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। কারণ মার্চ-এপ্রিল সময়ে ভারতের মোট চা উৎপাদনের শতকরা ১৫ ভাগ উৎপাদিত হয় এ দুই রাজ্যে থেকা ।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন