সোমবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত সরকার

আসন্ন রমজানের আগে মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের ছোবলে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর সরকার। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাজারে ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলা করে মুজিববর্ষ আর রমজান মাসে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবিকে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার রমজানের আগেই অন্যবারের চেয়ে প্রায় দশগুণ বেশি পণ্য নিয়ে টিসিবিকে মাঠে নামতে বলা হয়েছে। গত ৪ মার্চ রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখাসহ অন্যান্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাব এবং রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কঠোর দৃষ্টি রাখছে। চীনে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি তাদের হলি ডে (ছুটির দিন) ছিল, তাই আমদানি-রফতানি কিছুটা কমে যায়। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে চীন। দেশটি থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানির জন্য এলসিও খোলা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানান, রমজানের সময় ইফতারিতে ব্যবহার হয় এমন পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, চিনি, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল ও খেজুরের আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তারা যেন এসব পণ্যের আমদানি ও মজুত বাড়ান। যাতে ওই সময় দেশের মানুষ এসব পণ্য ন্যায্য দামে কিনতে পারেন। এসব উদ্যোগের ফলে রমজানে বাজার স্বস্তিতে থাকবে।

এ বছর খেজুর আমদানি করা হবে ৩০০ থেকে ৫০০ টন। গত বছর আমদানি হয়েছিল ১০০ টন। এছাড়া ভোজ্য তেল বছরব্যাপী আমদানি করছে টিসিবি। গত বছর টিসিবি ভোজ্য তেল আমদানি করে তিন হাজার টন। এবার তা বাড়িয়ে সাত হাজার টন আমাদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর চিনির আমদানি ছিল সাড়ে তিন হাজার টন। এ বছর তা পাঁচ থেকে ১০ গুণ বাড়ানো হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে চিনির আমদানি ছাড়াবে ২৫ হাজার টন। এছাড়া মসুর ডাল গত বছর ছিল দুই হাজার ৫০০ টন। চলতি বছর এ পণ্যটির আমদানিও কয়েক গুণ বাড়ানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  রপ্তানি বাণিজ্যে চমক

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন