গাজীপুর বিভিন্ন বাজারে এখনও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বিভিন্ন জেলায় কাঁচার মরিচের মূল্য এরচেয়ে কম দামে বিক্রি হলেও গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা-চৌরাস্তা, জয়দেবপুর বাজার ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কয়েকটি বাজার থেকে ওই তথ্য জানা গেছে।
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় কাঁচামাল বিক্রেতা সাইফুদ্দিন জানান, প্রতি কেজি ৩২০টাকা দরে বিক্রি করছি। একই বাজারের ব্যবসায়ি আসিব মিয়া জানান, তিনিও ৩২০টা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন, জয়নাল আবেদীন ও সাহাজুল মিয়া বিক্রি করছেন ২৮০টাকা কেজি দরে। সেখানে হাসান মিয়া ও রেজাউল করিম নামের অপর দুই ব্যবসায়িকে যথাক্রমে ২৬০টাকা এবং ২৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শ্রীপুর কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ি রুবেল মিয়া ৪০০ টাকা এবং আসাদ মিয়া ৩৮০টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। জয়দেবপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ি বাসার মিয়া ও জামাল উদ্দিন জানান, তারাও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০টাকা করে বিক্রি করছেন।
গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকার সামসুদ্দিন সরকার কাঁচামাল আড়তের ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেন জানান, তারা পাইকারী দরে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচা মরিচ ৯০০টাকা থেকে ১০০০টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব ব্যবসায়িরা জানান, কেনা দর থেকে সামান্য লাভেই তারা কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। গাজীপুরের কৃৃষি বিপনন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, আমরা বাজারে গেলেই ব্যবসায়িরা কাঁচা মরিচের দাম কমিয়ে বলে। তবে কৌশলে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের প্রকৃত মূল্য বের করার চেষ্টা চলছে। তবে তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়িদের কাঁচা মরিচের প্রতি কেজির মূল্য ২৪০-২৫০ টাকা বিক্রির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, গাজীপুরের সহকারি পরিচালক দিদার হোসেন জানান, গাজীপুরে কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, অভিযান চলাকালে ব্যবসায়িরা কাঁচা মরিচের দাম কম বলে। তিনি বলেন, ব্যবসায়িদের কাছে মরিচ কেনার রশিদ চাইলে তারা বলেন পাইকারী বিক্রেতারা তাদের রশিদ দেয় না। তাই এমতাবস্থায় তাদের কাঁচা মরিচের প্রকৃত ক্রয়/বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।