রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিসরকে ছাড়িয়ে রাশিয়ার গমের শীর্ষ ক্রেতা এখন তুরস্ক

রাশিয়ার গমের শীর্ষ ভোক্তা দেশ মিসর। কিন্তু চলতি বছর মিসরে গম রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এ সুযোগে চলতি বছর রাশিয়ার গমের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তুরস্ক। খবর প্রডিউসার ডটকম।

চলতি বছরের জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রাশিয়ার থেকে তুরস্কের বাজারে প্রতি মাসে ৭ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১১ লাখ টন পর্যন্ত গম রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।

রাশিয়ার কৃষিবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সভইকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্দ্রে সিজভ বলেন, গত পাঁচ মাসে মিসরকে ছাড়িয়ে রাশিয়ার গমের শীর্ষ ক্রেতা হয়ে উঠেছে তুরস্ক, যা অস্বাভাবিক।

আন্দ্রে সিজভ মনে করেন, রাশিয়া এখন আগের তুলনায় ভালো মানের গম উৎপাদন করছে। অন্যদিকে তুরস্ক ১৩-১৪ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ গম কিনতে আগ্রহী। এ কারণে রাশিয়া এখন দেশটির গম সরবরাহকারীর তালিকায় পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।

তুরস্কের মিলারদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সিজভ বলেন, তুরস্ক থেকে আটা-ময়দার রফতানি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফলে দেশটি রাশিয়া থেকে গম আমদানি করে উৎপাদিত আটা প্রতিবেশী দেশগুলোয় রফতানি করছে।

তবে তুরস্কের বাজারে রাশিয়ার গম রফতানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সুসম্পর্ক বলে মনে করেন কৃষিপণ্যবিষয়ক তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মার্কেট ফার্মের বিশ্লেষক ব্রুস বার্নেট।

অন্যদিকে আন্দ্রে সিজভের মতে, মিসরের বাজারে রাশিয়ার গম রফতানি কমে যাওয়ায় তুরস্ক রাশিয়ার শীর্ষ গম আমদানিকারকের জায়গায় চলে এসেছে।

মিসরে গত চার মাসে রাশিয়ার গম রফতানি ৩ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার টনের মধ্যে ছিল। যেখানে গত বছরের একই সময়ে রফতানি ছিল ছয় লাখ থেকে ১২ লাখ টন পর্যন্ত। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউক্রেনের মতো দেশগুলো মিসরের বাজারে গম সরবরাহ বাড়িয়েছে। ফলে দেশটির বাজারে রাশিয়ার হিস্যা কমে আসছে।

আরও পড়ুনঃ  আরও দক্ষ হয়ে দেশ গড়বে সেনারা : প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ রাশিয়া। দেশটিতে প্রতি বছর ৭ কোটি ৪০ লাখ টনের মতো গম উৎপাদন হয়। সভইকনের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ মৌসুমের ১ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া থেকে ২ কোটি ৩ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে কেবল গম রফতানি হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন