ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ বেড়ে গেল মাংসের দাম

হঠাৎ বেড়ে গেল মাংসের দাম

রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে বাজারের সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব ধরনের মাংসের দাম। রমজানের দিনগুলোতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবারই ভালো কিছু খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। সাধ্য অনুযায়ী গরুর, খাসি ও মুরগির মাংস কেনার চেষ্টা থাকে সবার।

তবে রোজার শুরুতেই উত্তাপ লেগেছে গরু-খাসি ও মুরগির মাংসের বাজারে। একদিন আগে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ছিল ৬০০ টাকা। গতকাল সেটা কেজিতে বেড়েছে ২০০-২৫০ টাকা। যা বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খাসির মাংসও বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। আর মুরগির কেজি পৌঁছেছে ২০০-২২০ টাকায়। যা একদিন আগে ছিল ১৫০ টাকা। গতকাল মৌলভীবাজারের অন্যতম পাইকারি ও খুচরা বাজার পশ্চিমবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রমজানের শুরুতে মাংসের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লেগেছে। এতে গরুর মাংসের সংকট দেখিয়ে মাংসের দাম বাড়িয়েছেন ক্রেতারা। এছাড়া কেজিতে কম দেওয়ার অভিযোগ আছে ক্রেতারের পক্ষ থেকে। গত সোমবার ভোক্তাদের অভিযোগের পেক্ষিতেই বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তখন বেশ কয়েকটি গরু ও খাসিক মাংসের দোকানে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের পর জরিমানা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, একদিন আগে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পেরেছেন। সরবরাহ কম থাকায় ২০০-২২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর কক মুরগি ১৫০ টাকার স্থলে প্রতি পিস ২২০ টাকা এবং লাল মুরগি ৪৭০ টাকার স্থলে ৫২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শহরের পশ্চিমবাজারের ক্রেতা আহমদ আলীর জানান, রোজার শুরুতে সাহরির জন্য গরুর মাংস কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। ৬০০-৬২০ টাকার মাংস ৮৫০ টাকায় পৌঁছেছে। তাই তিনি গরুর মাংস কিনতে না পেরে মুরগি কিনেছেন, তাও বাড়তি দামে।

জানা যায়, জবাইয়ের জন্য মৌলভীবাজারের বাজারে আনা অধিকাংশ গরুর’ই স্বাস্থ্য পরীক্ষা থাকে না। অনেক সময় অসুস্থ গরুও জবাই করে বিক্রি করার অভিযোগ আছে।

পশ্চিমবাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মানিক মিয়া জানান, গরু বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়েছে। তাই কেজি প্রতি এমন দাম পড়েছে। এ সময় লস দিয়ে তো আর বিক্রি করতে পারব না বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন