ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে পণ্য রফতানি আয় কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ 

দেশে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে পণ্য রফতানি আয়। আগে থেকেই এই কমতির ধারা চলে আসছিলো। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার প্রভাব পড়বে আগামী মাসগুলোতেও। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই-মার্চ) শেষে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৯৭ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছরের থেকে একই সময়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।

দেশের সিংহভাগ রফতানি আয়ের উৎস হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। এটিতে দিন দিন কমতে শুরু করেছে রফতানি আয়। গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এ সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৪১০ কোটি ডলার। যা  গত বছরের থেকে ৭ শতাংশ কম। এছাড়া গত নয় মাস মিলিয়ে চামড়া খাতে রফতানি কমেছে ১১ শতাংশ। নয় মাসে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, টেরিটাওয়েল, হোমটেক্সটাইলসহ অধিকাংশ পণ্যেরও রফতানি কমেছে। আর আশার কথা হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, আসবাব, হস্তশিল্প, বাইসাইকেলের রফতানি কিছুটা বেড়েছে।

বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শুধু মার্চ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২৭৩ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম ১৮ শতাংশের মতো। মার্চে পোশাক রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ২২৬ কোটি ডলার। কমেছে ২০ শতাংশ।

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হন গত ৩১ ডিসেম্বর। এরপর বিভিন্ন দেশে সেটি ছড়িয়ে পরে। বাংলাদেশের রফতানি খাতে শুরুতেই বিপাকে পড়ে চামড়া, কাকড়া ও কুঁচে রফতানি মতো খাত, যারা চীনের বাজারের ওপর বেশি নির্ভরশীল ছিল।

নিট পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, করোনার প্রভাব আসলে পড়বে এপ্রিল ও পরবর্তী মাসগুলোতে। তিনি দাবি করেন, মার্চে যে পণ্য রফতানি হয়েছে তার বিপরীতে টাকা পাওয়া যায়নি। তাই অনেকে শ্রমিকের মজুরি দিতে সমস্যায় পড়েছেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন