ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধুচাষে ভাগ্যবদল

মধুচাষে ভাগ্যবদল
  • লাখ লাখ টাকা আয়

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলে বেকার যুবকেরা প্রাকৃতিক উপায়ে মধু চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জানা যায়, ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি গ্রামের গোলাপ হোসেন ২০১৫ সালে এনজিও ওয়াল্ডভিশন থেকে মধুচাষের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষণ শেষে সীমান্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক উপায়ে ভ্রাম্যমাণ মধু চাষ শুরু করেন। তার দেখা-দেখি দুধনই গ্রামের আব্দুল হালিম ও নওকুচি গ্রামের মহন মিয়া ভ্রাম্যমাণ মধু চাষে আগ্রহী হন। তারপর হালিম মিয়া ও মহন মিয়া ৪শ ভ্রাম্যমাণ মৌমাছির বক্স তৈরি করে, শুরু করে মধু সংগ্রহের কাজ। মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে মধু সংগ্রহের জন্য ৪শ ভ্রাম্যমাণ মৌমাছির বক্স ব্যবহার করেন। সরিষা মৌসুমে সরিষার মধু সংগ্রহের জন্য সরিষা চাষের এলাকায় যান। আবার লিচুর মধু সংগ্রহ করার জন্য এবং একই কায়দায় কালিজিরা মধু সংগ্রহের জন্য মৌচাকের বক্সগুলো ব্যবহার করেন মধু সংগ্রহের জন্য। উপযুক্ত সময় বুঝে মধু সংগ্রহের জন্য এ ৪ শতাধিক মৌমাছির বক্স ব্যবহার করেন। এতে প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ টন মধু সংগ্রহ হয়।

মৌচাষি গোলাপ হোসেনের কাছে থেকে জানা যায় প্রতি বছর সংগ্রীহিত মধু ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধু বিক্রি করা যায়। মধুর পাশাপাশি মধুর চাক থেকে মোম সংগ্রহ করে বিক্রি করে ভালো মূল্য পায় মৌ-চাষিরা। উৎপাদিত মধু প্রকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হয়। চাহিদা অনুযায়ি সবচেয়ে দামি মধু হিসেবে কালিজিরা মধু। প্রতি কেজি কালিজিরা মধু ৮ থেকে ৯শ টাকা, প্রতি কেজি লিচুর মধু ৭ থেকে ৮শ টাকা ও সরিষার মধু ৬ থেকে ৭শ টাকায় বিক্রি করে।

উল্লেখ্য, মৌসুমী ফুল শেষ হলে পাহাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ মৌচাক বক্সগুলো স্থাপন করে। কারণ মৌমাছির খাদ্যর প্রয়োজনে পাহাড়ের বিভিন্ন গাছ-পালা থেকে মৌমাছির খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। পাহাড়ি গাছ-পালা থেকে পর্যাপ্ত মধু পাওয়া যায় না। তবে, মৌমাছির জীবন-জীবিকার জন্য পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থান করতে হয়। বর্তমানে মধু সংগ্রহকারি হালিম ও মহন ৪শ’ মৌবক্স নিয়ে অবস্থান করছেন নওকুচি এলাকায়। চলতি মৌসুমে সরিষা ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে ফুল ফুটন্ত এলাকায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন