যাত্রা শুরু করল দেশের প্রথম ব্যাংকিং মিউজিয়াম ‘এমটিবি মিউজিয়াম’। সোমবার রাজধানীর বাংলামোটরে এমটিবি টাওয়ারের স্যামসন এইচ. চৌধুরী অডিটোরিয়ামে উদ্বোধন করা হয় মিউজিয়ামটি। বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ব্যাংকে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে মিউজিয়ামটি চালু করেছে বেসরকারি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পরিচালক সৈয়দ মনজুর এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনিস এ খান, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রফিকুল হক, গৌতম প্রসাদ দাস, তারেক রিয়াজ খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্যাংকের কাজ শুধু লাভ-লসের হিসাব করা না, সমাজ ও দেশ নিয়েও ব্যাংক কাজ করে। এই উদ্দেশ্যেই আজ এমটিবি মিউজিয়াম চালু করা হলো। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৯ পর্যন্ত ২০ বছরে এমটিবির পথচলা এবং অর্জনের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হবে এ মিউজিয়ামে। এতে প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন সামগ্রী, পরিচালনা পর্ষদ, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বার্ষিক সাধারণ সভা, বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাখা, বুথ, এটিএম, কিওস্ক, এয়ার লাউঞ্জ, প্রিভিলেজ সেন্টারের ছবি সংরক্ষিত থাকবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ২০ বছর অতিক্রম করতে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। আজকে যে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলো, তা নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। ব্যাংক শুধু মানি মেশিন না হয়ে, নানা রকম সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় অনেক কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই উদ্যোগ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিহাস রক্ষা করা খুব কঠিন। মনে রাখার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। এটি আমার জন্য একটি উৎসাহের ব্যাপার। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও আমরা কাজ করছি।
অতিথিরা এমটিবি ভবনে পোড়ামাটির তৈরি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি টেরাকোটা উদ্বোধন করেন। এছাড়া ব্যাংকের ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করা হয়। ‘মুজিব শতবর্ষ’ থিম নিয়ে সাজানো ক্যালেন্ডারটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। দেশের ১২ জন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী বিশেষ এই ঘটনাগুলোর ছবি এঁকেছেন।
ক্যালেন্ডার নিয়ে রামেন্দ্র মজুমদার বলেন, আত্মবিশ্রিত জাতি হিসেবে আমরা কিছুই ধরে রাখতে চাই না। অতীতে আমরা অনেক বিষয়ে ক্যালেন্ডার করেছি। এ বছর করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী নিয়ে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস
