বছরজুড়ে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় দেশে মার্কিন ডলারের সংকট তৈরি হয়। তাই হু হু করে বাড়ে ডলারের দাম। ফলে টাকার বিপরীতে ডলার আরও শক্তিশালী হয়। দুর্বল হয়ে যায় টাকার মান।
২০১৯ সালের প্রথমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। চলতি বছরে দফায় দফায় দাম বেড়ে ডলার প্রতি ৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে গত এক বছরে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে এক টাকা। কিন্তু সাধারণ মানুষ, যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের এখন ৮৭-৮৮ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে ডলার। যা বছরের শুরুতে ছিল ৮৫-৮৬ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা অনুসারে, বছর শুরুর ছয়দিনের মাথায় আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে পাঁচ পয়সা দাম বেড়ে ডলারের মূল্য দাঁড়ায় ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা। এর পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে দাম বেড়ে হয় ৮৪ টাকা ১৫ পয়সা। মার্চে ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ২৫ পয়সা। এপ্রিলে ডলারের দাম বাড়ে ২০ পয়সা আর মে মাসে আরও পাঁচ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও অক্টোবরে ২৫ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সায়। নভেম্বর মাসে আরও ১৫ পয়সা বাড়ে। বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ডলারের দাম দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ডলারের দাম বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। অপরদিকে লাভবান হন রফতানিকারক এবং রেমিট্যান্স প্রেরণকারীরা। ডলারের দাম বাড়লে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে। আর পণ্যের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। স্বল্প আয়ের মানুষ সমস্যায় পড়েন বলে জানান প্রবীণ এ অর্থনীতিবিদ।
আনন্দবাজার/এফআইবি