ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলমান ৫৫ প্রকল্পে ঋণ

চলমান ৫৫ প্রকল্পে ঋণ

১৫ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশকে চলমান ৫৫টি প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক ১৫ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৫০০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন। সংস্থাটির অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)-এর অন্যতম বৃহৎ ঋণ প্যাকেজে বাংলাদেশ থাকছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বিদায়ী সাক্ষাতে এ কথা জানান। এ সময় মার্সি টেম্বন ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশে অর্থায়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। মার্সি টেম্বন পদোন্নতি পেয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিতে বাংলাদেশ ছাড়বেন শিগগিরই।

মার্সি টেম্বন বলেন, গত ৩ বছরে বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৮০ লাখ ডলার ছাড় দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশকে নতুন ৫৫টি প্রকল্পে এক হাজার ৫০০কোটি ডলার অর্থায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯২ টাকা ধরে)।

বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমি আপ্লুত। কোভিডকালীন থেকেই বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। যেহেতু আমি বিশ্বব্যাংকের বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকবো, সেহেতু আমার প্রতিটি বোর্ড সভাই ভূমিকা থাকবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কোনো বিষয় বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় উঠলে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিশ্বব্যাংক এবং আমরা উভয়েই লাভবান হচ্ছি। এখানে শুধু দেওয়া নেয়ার বিষয় নয়, তারা যে দিচ্ছে আমরা শুধু নিচ্ছি এমনটা না। আজকে চাওয়ার কোনো বিষয় না। তিনি বিদায় নিচ্ছেন ফলে বাজেট সহায়তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানির সচিব হিসেবে তিনি আমাদের জন্য অবশ্যই কাজ করবেন। সোমবার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের চলমান সম্পর্ক। মাঝে মাঝে টানাপোড়েন হলেও উন্নয়নসহযোগী হিসেবে এদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ভূমিকা রেখেছে। টেম্বনও বলেছেন, এদেশের প্রতি তার কৃত্রিম ভালোবাসা আছে। তাই আমরা আশা করতে পারি তিনি আমাদের বিষয়টি ভালোভাবেই নেবেন। তিনি উন্নয়ন দেখে গেলেন। তার সমনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব খাতে ঋণ দিলে রস বা আউটপুট আসবে সেসব খাতে আমরা ঋণ নেব। তবে এটা মনে রাখতে হবে ঋণ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের মধ্যেই পরিচিতি থাকা উচিত। আমার মতে শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো, উন্নয়ন, দরিদ্র নিরসন এবং পাবলিক অবকাঠামো উন্নয়নে জন্য আরও ঋণ দরকার।

দেশের অর্থনীতি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বেশকিছু সূচকে সেই আভাস মিলছে। এরই মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি বেড়েছে। বৈশ্বিক সংকটে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও কিছুটা সংকটে পড়েছে। তবে আমাদের সরকারের নানামুখী উদ্যোগে আগামী মাস থেকেই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পথে হাঁটবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন