ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূচকে পতন বেড়েছে লেনদেন

সূচকে পতন বেড়েছে লেনদেন
  • ৪৮ শতাংশ কোম্পানির দরপতন, বেড়েছে ৪৩ শতাংশ
  • ডিএসইর লেনদেন ১২১৯ কোটি, সিএসইর ৪৮ কোটি
  • ডিএসইর শীর্ষ বেক্মিমকো, সিএসইর গ্রামীনফোন

পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। তবে আগের কার্যদিবস থেকে এদিন লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুই স্টকের এদিন (বুধবার) ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৪৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সিএসইর ৪৭ দশমিক ১১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। এদিন উভয় স্টকের ৪২ দশমিক ৭৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৩৭ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সিএসইর ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের বাড়া-কমাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিন ডিএসইতে সিমেন্ট, চামড়া, পাট, পেপার, আইটি, খাদ্য আনুষঙ্গিক, নন ব্যাংকিং আর্থিক, বিমা এবং ওযুধ রসায়ন খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এদের মধ্যে সিমেন্ট খাতের ৮৬ শতাংশ, চামড়া খাতের ৮৩ শতাংশ, পাট খাতের ৬৭ শতাংশ, পেপার খাতের ৬৭ শতাংশ, আইটি খাতের ৬৪ শতাংশ, খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের ৫৭ শতাংশ, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৫২ শতাংশ, ওযুধ রসায়ন খাতের ৫৩ শতাংশ এবং বিমা খাতের ৫১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। ডিএসইতে সিরামিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এদের মধ্যে সিরামিক খাতের ৬০ শতাংশ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ৫৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংক খাতের বেড়েছে ৩৯ শতাংশ ও কমেছে ৩০ শতাংশ, বস্ত্র খাতের বেড়েছে ৩৪ শতাংশ ও কমেছে ৪৩ শতাংশ, জ্বালানি শক্তি খাতের বেড়েছে ৪৮ শতাংশ ও কমেছে ৪৮ শতাংশ, বিবিধ খাতের বেড়েছে ৪৩ শতাংশ ও কমেছে ৫০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বেড়েছে ১৯ শতাংশ ও কমেছে ৩২ শতাংশ, সেবা আবাসন খাতের বেড়েছে ৫০ শতাংশ ও কমেছে ৫০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতের বেড়েছে ৩৩ শতাংশ ও কমেছে ৩৩ শতাংশ এবং ভ্রমন অবসর খাতের বেড়েছে ২৫ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। পুঁজিবাজারের কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের বৃদ্ধি-হ্রাস সহ সূচক পতন স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। মতিঝিল এলাকার বেশকিছু সিকিউরিটিজ হাউজ ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১৮৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৫টির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট ও ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৬০২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৪৯৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে। টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, কুইন সাউর্থ, মালেক স্পিনিং, আরএকে স্পিনিং, ফু-ওয়াং ফুড, পাওয়ার গ্রিড, সাইফ পাওয়ারটেক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স।

অপর পুঁজিবাজারে বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৪৭টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৮৬ দশমিক ৬২ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫২১ দশমিক ২৬ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৯১ দশমিক ৬২ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৮৯ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে। টাকার অংকে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- গ্রামীনফোন, ইবিএল এনআরবি ফান্ড, লিন্ডে বিডি, ওরিয়ন ফার্মা, কুইন সাউর্থ, ফু-ওয়াং ফুড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, সাইফ পাওয়ারটেক, ওয়ান ব্যাংক এবং জিপিএইচ ইস্পাত।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন