ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গতি ফেরেনি রেমিট্যান্সে

  • হুন্ডিতে বেড়েছে লেনদেন
  • গত ৫ মাসে প্রথম সৌদি, দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই-নভেম্বর) প্রথম ৫ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৮৬০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। যা মোট রেমিট্যান্সের ৫৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। যার সিংহভাগই এসেছে সৌদি থেকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স পাঠানো দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে দেশটি থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের প্রায় ১৯ শতাংশ। রেমিট্যান্স পাঠানোর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চতুর্থ অবস্থানে থাকা কুয়েত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৭০ কোটি ডলার। পঞ্চম অবস্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। দেশটি থেকে এসেছে ৬৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। কাতার থেকে এসেছে ৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া ৪৪ কোটি ডলার, ওমান থেকে ৪২ কোটি ডলার, ইতালি ৪১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অংক গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বা ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। গত বছরের নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। শুধু তাই নয়, নভেম্বরের রেমিট্যান্সের এ পরিমাণ গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসের দেশে ১৫০ কোটি ডলার সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছিল।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারির বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর অবৈধ চ্যানেলগুলোতে অর্থাৎ হুন্ডিতে অর্থ লেনদেনের বেড়েছে। এছাড়া মহামারিতে যে হারে প্রবাসীরা চাকরি হারিয়েছে সেই ভাবে নতুন বৈদেশিক নিয়োগ হয়নি। এসব কারণে প্রবাসীদের আয় কমছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৬০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। দেশিয় মুদ্রায় যার অংক ছিল ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন