বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়া ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, মেটা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শীর্ষ কর্মকর্তারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় বিশ্ব ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দেশের উন্নত ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশের প্রচেষ্টাগুলোও তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
ডাভোসে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
ড. ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদান শেষে ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
তিনি বলেন,বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে। যাতে তারা বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধাগুলো তারা তাদের কাজে লাগাতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন।
প্রেস উপসচিব আজাদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী নেতা, সিইওদের অংশগ্রহণে আলাদা সংলাপ হবে, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল সুযোগ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম গত বৃহস্পতিবার জানান, ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন জাতিসংঘের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
বার্ষিক সভা ২০২৫-এ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করা এবং ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শক্তি রূপান্তর পরিচালনা করা।
এই বছরের সম্মেলনটি ‘কলাবোরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিটিতে স্বতন্ত্রভাবে পাঁচটি ভাগ থাকলেও অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত ধারণাগত অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে।
বৈঠকে ১৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ৬০টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৩৫০ জন সরকারি নেতা একত্রিত হন।