ঢাকা | শনিবার
২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার

দেশের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার

দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা জুন মাসের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।

মেজবাউল হক গণমাধ্যমে জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মূলত তিন ধরনের হিসাব করা হয়— এক. গ্রস রিজার্ভ, দুই. বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এবং তিন. নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ। তিনি বলেন, নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে— নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে ৩০ জুন গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৮২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৬ দশমিক ৮২ ‍বিলিয়ন)। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১৮৪ কোটি ডলার (২১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন)। এর বাইরে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ— যা শুধু আইএমএফকে দিতো বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ছাড় দেওয়া ছাড়াও এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দীর্ঘদিন কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুক্ত হওয়ায় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ অনুমোদনের পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করলো। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় মূল্যায়নের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাসের শেষে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত এপ্রিলে ১২ ও দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট ৭টি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কো‌টি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন