রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিম্নআয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে কম মূল্যে দেয়া দুধ, ডিম ও মাংস দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। অনেক ক্রেতা প্রাণিসম্পদের কম মূল্যে পাঁচ ধরনের পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না থাকা ও পণ্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ও কালশীতে এই ঘটনা ঘটে।
ফেরত যাওয়া ক্রেতাদের আগামীকাল রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার মধ্যে আসতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদের কর্মচারীরা। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের ক্যাশিয়ার মো. রহিম বলেন, রোজার আগের দিন থেকে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গরু, খাসি, ব্রয়লার ও খাসির মাংস এবং দুধ ও ডিম বিক্রি করছি আমরা। তবে রোজার প্রথম দিন পণ্য বিক্রি করতে সময় লাগলেও এখন দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
দুধ ৮০ টাকা লিটার এবং ডিম এক ডজন ১১০ টাকা বিক্রি করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসি ৯০০ টাকা, ড্রেস্ড ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি।
কম মূল্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এই সব পণ্য কিনতে এসেছি উল্লেখ করে ইয়াকুব নামে এক ক্রেতা জানান, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না থাকায় আজ খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে তার। তিনি বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ বিক্রি করা এইসব পণ্যের দাম যে অনেক কম বিষয়টি সেরকম নয়। তবে যেহেতু এগুলো সরকারি কর্তৃপক্ষ বিক্রি করছে সেহেতু পণ্য খাঁটি হওয়ার কথা। এজন্যই আমি এর আগে দুইবার নিয়েছি। আজও নিতে এসেছিলাম কিন্তু পেলাম না। এদিকে অন্য ক্রেতারা জানান, গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি হলে এটা কম নয়। অনেক ব্যবসায়ী নিজেরাই এই দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন। একইভাবে ব্রয়লার মুরগি আর ডিমের দামও বাজারের কাছাকাছি। ডিম বাজারে আজ ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। তারাও ১১০ টাকা বিক্রি করছে।
উল্লেখ্য, কালশীর এই ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কালশীতে চাহিদা অনেক বেশি। আজ এখানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি ব্রয়লার, ১০ কেজি খাসির মাংস, ২৪শ ডিম এবং ১০০ লিটার দুধ বিক্রি করেছি। বাজারের সঙ্গে আমাদের পণ্যের মান ও দামে তফাৎ আছে বলেই চাহিদা বাড়ছে। প্রতিদিন সকালের দিকে আমাদের পণ্যগুলো বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবার আগে গরুর মাংস শেষ হয়। অনেকে পরিমাণে বেশি চান কিন্তু আমরা দেই না। তবে দুধ ও ডিম চাইলে একটু বেশি দেয়া হচ্ছে।