ঢাকা | বুধবার
২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন

বাউফলে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন

পটুয়াখালীর বাউফলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ কাছিপাড়া এজেন্ট শাখার মোসাঃ মুক্তা আক্তার (২৭) ও নিপা আক্তার (২৪) নামের দু’জন মহিলা ব্যাংক স্টাফকে দুপুরের খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করার অভিযোগ উঠেছে একই ব্যাংকের অফিস সহকারী মোঃ রুবেল সরদার এর বিরুদ্ধে। গত সোমবার (১১ই মার্চ) দুপুর আনুমানিক তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরে অচেতন অবস্থায় আহতদের কালিশুরী বেসরকারি স্লোব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।কিন্তু, ব্যাংকের এজেন্ট ইনচার্জ মুক্তা আক্তার স্বাভাবিক সুস্থ হলেও ব্যাংকের ক্যাশিয়ার নিপা আক্তার এখনো অচেতন অবস্থায় রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিপাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানান ব্যাংক ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আকন।

ব্যাংক স্টাফদের কাছ থেকে যানা যায়, অভিযুক্ত অফিস সহকারী মোঃ রুবেল সরদার এর আগেও (১মাস পূর্বে) অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ নাছিম বেগমকে একই পদ্ধতিতে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করেন এবং তাকে সুস্থ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে, রুবেল কি কারনে এই কাজ করছে তা অনুসন্ধানে এখনও জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী মুক্তা আক্তার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন খাইয়েছে এবং কি কারনেই যে এ কাজ করেছে তা আমরা জানিনা।আমরা তার বিরুদ্ধে বিচার দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত রুবেল সরদার উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের মৃত্যু গোলাম হোসেন মাস্টারের ছেলে।ঘটনা বিষয় জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে-ও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

এ ঘটনায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ ফেরদৌস আকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আনন্দবাজার প্রতিবেদককে বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি তাঁরা আমাকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছেন।

এ বিষয় বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন আনন্দবাজারকে বলেন,’ ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি। অভিযোগ সুত্রে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বশির গাজী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন