ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই দাম কমলো বেগুন-আদার

জয়পুরহাটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে- মুনাফা লোভী সুযোগ সন্ধানী অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়াতে পারে নি নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য সামগ্রির মূল্য। বরং ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কমেছে আদা, রসুন, বেগুন সহ ইফতারি ও সেহেরীতে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অন্য সামগ্রীর দাম।

মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জয়পুরহাট জেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ভোক্তা ক্রেতা সাধারণ।

তারই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী কৃষি বিপণন কমিটির সদস্য, বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন- চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করে বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে- প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর যৌক্তিক মূল্য বেঁধে দেন। আর সেই সাথে বেঁধে দেয়া দামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বেচাকেনা হচ্ছে কিনা তা কঠোর ভাবে মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তারই প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুবের নেতৃত্বে জয়পুরহাটের পাইকারি বাজার- নতুনহাটে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শুরু হয় ।

ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতিতে ওই হাটের বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিলেও, তা না নিয়ে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর এর প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারেও । ফলে তাৎক্ষণিক ৫০টাকা দরে বিক্রি হওয়া বেগুন ৩৫ টা কেজিতে এবং ২০০ টাকা দরের আদা ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু হয়। এমনিভাবে বেগুন ও আদার মতো একে একে
রসুন,পেঁয়াজ, ডিম, গরু ও খাসির মাংস সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য কমে জয়পুরহাট জেলায় এখন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন