দেশের পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
প্রকৌশল, ওষুধ এবং বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে চলার সাথে সাথে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তবে কমেছে লেনদেন। এর ফলে মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই দিন দরপতনের পর বৃহস্পতিবার সূচক পতন থামল। বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। এ ধারা অব্যাহত ছিল সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপ কিছুটা কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলে। এই অবস্থায় লেনদেন চলে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত।
দুপুরের পর শুরু হয় আবারও বিক্রির চাপ, সেই চাপে আতঙ্কিত হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শুরু করেন শেয়ার বিক্রি। যা অব্যাহত ছিল দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। তবে দিনের বাকি সময় লেনদেন হয় সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। দিন শেষ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে। এদিন ৩১৪ প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়িয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রূপালী লাইফের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। এরপরের তালিকায় যথাক্রমে সোনালী পেপার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, জেমিনি ফুড, ইয়াকিন পলিমার, এসেকে স্টিমস, এমারেল্ড অয়েল এবং লাফার্জহোলসিম লিমিটেডের শেয়ার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ৩৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৬ কোটি ৪৯লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৩৫০ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের।