চায়ের ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরণের পথে চা শিল্প। উৎপাদন ভালো হওয়ায় চা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে চা শিল্প সংস্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন। চলতি আগস্ট মাসে ৫০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে বলে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা ধারণা করছেন।
শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক পারবতী গৌঢ় জানান, এখন বেশি বেশি পাতা তুলছেন। প্রতিদিন তার ডবল হাজিরা হয়। বুধবার পাতা তুলেছেন ৬৩ কেজি। এখন প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি পাতা তুলেন। শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক পারবতী গৌঢ় জানান, এখন বেশি বেশি পাতা তুলছেন। একটার জায়গায় এখন দুইটা হয়। বুধবার পাতা তুলেছেন ৬৩ কেজি। এখন প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি পাতা তুলেন।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক সাবিত্রী ভূঁইয়া জানান, তিনি বুধবার পাতা তুলেছেন ৭০ কেজি। এক হাজরিতে ২৪ কেজি; যার জন্য পাবেন ১৭০ টাকা। এর পর প্রত্যেক কেজিতে তিনি আরও ৫ টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন। ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক সাবিত্রী ভূঁইয়া জানান, তিনি বুধবার পাতা তুলেছেন ৭০ কেজি। এক হাজরিতে ২৪ কেজি; যার জন্য পাবেন ১৭০ টাকা। এর পর প্রত্যেক কেজিতে তিনি আরও ৫ টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের তথ্যমতে, অগাস্ট পর্যন্ত উৎপাদন ৫০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে। অথচ ২০২২ সালের জুলাই মাসে উৎপাদন হয়েছিল ১১ দশমিক ২৭৬ মিলিয়ন কেজি। আর অগাস্টে হয়েছিল ১০ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন কেজি। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের রফিকুল হক বলেন, জুন পর্যন্ত মৌসুমের মোট উৎপাদন ২৬.৪৬২ মিলিয়ন কেজি। বাগানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-অগাস্ট সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। অগাস্টের পর উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ইসমাইল হোসেন জানান, এ মৌসুমে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ মিলিয়ন কেজি। জুন মাসের প্রথম দিকে চা শিল্প তাপাদাহের উৎপাদন ব্যাহত হয়। বর্তমানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়াতে উৎপাদন বেড়েছে।