ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন

যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রথম বারের মতো যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে টুয়েলভ ইভেন্ডস মিট গ্রেট এসিস্ট এর উদ্যোগে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বুধবার হেল্প ডেস্ক আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।

টুয়েলভ ইভেন্টেস (এমজিএ) এর সিও উইং-কমান্ডার(অব:) এটিএম নজরুল ইসলাম এরসভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান, স্থলবন্দর সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হাসান মাহমুদ ভূইয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে এ স্থলবন্দরে যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদ সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পেলেও কাঙ্খিত যাত্রীসেবা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এ অবস্থায় আধুনিক যাত্রীসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেসরকারিভাবে খোলা হয় এ হেল্প ডেস্ক। এখন যাত্রীরা সীমিত ফি দিয়ে বাগীকার, হুইলচেয়ার ও ট্রলি সার্ভিসসহ অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন এ ডেস্ক থেকে। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান ও ট্রেনের টিকিটও কাটার সুবিধা থাকছে হেল্প ডেস্কে। পাশাপাশি ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত তথ্য সহায়তাও দেয়া হবে যাত্রীদের।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, এই প্রথম আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রীসেবা বৃদ্ধিতে একটি হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। আমাদের এই স্থলবন্দর আধুনিক পরিসেবায় প্রবেশ করেছে। এই পরিসেবার মাধ্যমে আমরা আশা করছি যাত্রীরা এখন সহজেই পারাপার করতে পারবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় এই হেল্প ডেস্কে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। টুয়েলভ ইভেন্ডস মিট গ্রেট এসিস্ট এর সিও উইং কমান্ডার (অব:) এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে , আমরা একটি যাত্রী সেবা বান্ধব দেশ হিসেবে কাজ করতে চাই। সেই জন্য

যাত্রী সেবার মান নিশ্চিত করেত স্থলবন্দরের সহযোগিতায় বেসরকারি ভাবে আমরা একটি হেল্প ডেস্ক সেবা চালু করেছি। উল্লেখ্য, স্থলপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম আখাউড়া স্থলবন্দর। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ৭০০-৮০০ জন যাত্রী ভারত গমন করে থাকেন। প্রত্যেক যাত্রীকে ভ্রমণ কর দিতে হয় ১ হাজার টাকা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন