ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের নিচে লেনদেনের সুযোগ দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বাজার দর বিবেচনায় বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারের থেকে বেশি নিচে নামতে পারবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো হয়। করোনার (কোভিড ১৯) কারনে ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো যখন ফ্লোর প্রাইসের কারনে লেনদেন তলানিতে নামে। তখন ফ্লোর প্রাইসের নিচে ব্লকে লেনদেনের সুযোগ ছিল। ওই বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানিতে ক্রেতা না থাকায় লেনদেন তলানিতে চলে যায়। সেই পরিস্থিতিতে ওই বছরের ১০ জুন ব্লক মার্কেটে ফ্লোরের নিচে লেনদেন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারের আওতায় ফ্লোর প্রাইস ছাড়া ব্লক মার্কেটে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করা যাবে। তবে বর্তমান ফ্লোর প্রাইসের থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি নিচে নামতে পারবে না। অনেকটা ব্লক মার্কেটের জন্য এখনকার চেয়ে ১০ শতাংশ কমে আরেকটি ফ্লোর প্রাইস তৈরী করা হয়েছে নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে। যেমন ২০ টাকা ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার ব্লকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে ১৮ টাকায় লেনদেন করা যাবে।
তবে এই শেয়ারটি পরবর্তীতে ওই ১৮ টাকা বিবেচনায় আরও কমে লেনদেন হতে পারবে না। এটা আগের দিনের ক্লোজিং দর বিবেচনায় ১০ শতাংশ উত্থান পতনে লেনদেন হতে পারবে। আর ফ্লোর প্রাইসের কারনে ক্লোজিং প্রাইস যেহেতু ২০ টাকার নিচে নামার সুযোগ নেই। তাই ব্লকেও ১৮ টাকার নিচে নামার সুযোগ থাকবে না।