ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থামছে না পতন

থামছে না পতন
  • পুঁজিবাজারে সূচকে পতন, কমেছে লেনদেন
  • ডিএসইতে কমে ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ
  • সিএসইতে লেনদেন ১১ কোটি ৬ লাখ
  • ফ্লোর প্রাইজের কারণে দর অপরিবর্তিত
  • সেরা ডিএসইতে জেনেক্স ইনফোসিস

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সোমবার সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। দুই স্টকে লেনদেন পরিমাণ কমেছে। এদিন ক্রেতার পরিমাণ দুই স্টকেই কমেছে। সূচক কমার প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, গতকাল সোমবারও ফ্লোর প্রাইজের কারণে ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন বিক্রেতার চাপ ছিল বেশি। একই অবস্থা ছিল সিএসইতেও।

আরও বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। পরের দিন লেনদেন আবারো কমে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের জোয়ার-ভাটায় পড়ে লেনদেন। এরই ধারায় গতকাল সোমবার লেনদেন ভাটায় ৭১৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। সূচকেও পতন হয়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গতকাল সোমবার ডিএসইতে ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস গত রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯৮ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৮ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮টি এবং কমেছে ৬৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২৫৬টির। এদিন ডিএসইতে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন জেনেক্স ইনফোসিস ৭৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচ ৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মা ২১ কোটি ২ লাখ টাকা, আমরা নেট ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, সামিট এলায়েন্স পোর্ট ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, জেমিনি সী ১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে সোমবার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস রবিবার ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৮টি, কমেছে ৫০টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১০৭টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩০ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ১০ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৮ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ২৪৮ দশমিক ২০ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১০৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ওরিয়ন ফার্মা ১ কোটি ১ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে নাভানা ফার্মা ৯৩ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ৮২ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোল্ডসিম ৬১ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ৫৯ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ৫১ লাখ টাকা, তিতাস গ্যাস ৫১ লাখ টাকা, ন্যাশনাল পলিমার ৪৩ লাখ টাকা এবং আমরা নেটওয়্যার্ক ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন