ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়লো লেনদেন

বাড়লো লেনদেন
  • ক্রেতা বেশি, সূচকে পতন
  • বেশির ভাগ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত
  • ডিএসইতে ১৪শ কোটি, সিএসইতে ২৩
  • সেরা ইস্টার্ন হাউজিং, সিএসইতে সী পার্ল

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। উভয় স্টকের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে লেনদেন পরিমাণ দুই স্টকে বেড়েছে। লেনদেন বেড়ে ডিএসইতে ১৪শ কোটি টাকায় চলে এসেছে। আর সিএসইতে ২৩ কোটি টাকায় এসেছে। লেনদেন সেরা ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিং। অপরদিকে লেনদেন সেরা সিএসইতে সী পার্ল বিচ।

লেনদেন বৃদ্ধির প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, গতকাল ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। তবে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার চাপ কম ছিল। সিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এই স্টকে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার চাপ কম ছিল।

আরও বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। পরেরদিন লেনদেন আবারো কমে।

এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। তবে ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের ভাটা পড়ে লেনদেনে। এরই ধারায় গতকাল লেনদেন ১৪শ কোটি টাকায় চলে আসে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ১ হাজার ৪১০ কোটি ৯২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯৯৪ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৯৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৮ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৩০৮ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৪১৯ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০১টি এবং কমেছে ৯৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৭৫টির। এদিন ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন হাউজিং ১২৪ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ৯২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ৯২ কোটি ৫১ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচ ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন ৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো ৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস ৩২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, পেপার প্রেসেসিং ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, ইন্দো-বাংলা ফার্মা ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং মনোস্পল পেপার ২৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বুধবার ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭৩টি, কমেছে ৬৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১১৮টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে।

সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৪১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৬ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৪৫৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ২৩০ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ২১ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৭৯ দশমিক ৩১ পয়েন্ট।

এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচ ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইন্দো-বাংলা ফার্মা ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, কহিনূর কেমিক্যাল ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মনোস্পল পেপার ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা, নাভানা সিএনজি ৭৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ৭২ লাখ টাকা, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস ৬৭ লাখ টাকা, পেনিনসূলা ৫৪ লাখ টাকা এবং ফার কেমিক্যাল ৫২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন