বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সারশিল্প

নরসিংদীতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সারশিল্প
  • বছরে উৎপাদন ১০ লাখ টন

এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই এশিয়ার সর্ববৃহৎ এ সার কারখানাটির ৭০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১০ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি চালু হলে দৈনিক ২ হাজার ৮শ মেট্রিক টন সার উৎপাদন সম্ভব হবে। গত ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার বর্তমান সরকারের এই মেগা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

এরআগে নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন করা হয় ১৯৭০ সালে। পরবর্তীতে একই স্থানে পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা নামে আরও একটি সার কারখানা স্থাপন করা হয়। শুরুতে এই দুই সার কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রায় ৬ লাখ টন। উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে যা শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল ৪ লাখ টনে। অথচ প্রতিদিন কারখানা দুটিতে পোড়ানো হতো ৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যা বাড়িয়ে দিয়েছে সারের উৎপাদন খরচ। তাই উৎপাদন বাড়াতে এ দুটি সার কারখানা ভেঙে আধুনিক একটি সার কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে সরকার।

এটি চালু হলে আমদানি নির্ভরতা কমে ৫ ভাগের ১ ভাগে নেমে আসবে। বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। আধুনিক আর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে কারখানাটি। যাতে খরচ হবে সারে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ১৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে নির্মাতা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে। কারখানাটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে জাপানের মিটসুভিসি হেবি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চায়না প্রতিষ্ঠান সিসি সেভেন।

আরও পড়ুনঃ  ছয় মাসে রিজার্ভ থেকে ৬৭০ কোটি ডলার বিক্রি

বাংলাদেশে বছরে ২৫ লক্ষ টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হলেও এটি উৎপাদনে আসলে ২০ লাখ টন পাওয়া যাবে। আর বাকি ৫ লাখ টন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। অর্থাৎ ৮০ ভাগ দেশে উৎপাদন আর ২০ ভাগ বিদেশ থেকে আনতে হবে। এখন বাংলাদেশে ৪০ ভাগ ইউরিয়া সার উৎপাদন হচ্ছে ৬০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এটি উৎপাদনে আসলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৯৬৮ জন স্থায়ীসহ ২৬ হাজার মানুষের।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন