ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীলে ঋণ সহায়তা ও পণ্যের শুল্ক হ্রাস করতে হবে

কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ^ব্যাপী ভোগ্য পণ্যের সাপ্লাই চেইনের উপর বেশি মাত্রায় চাপ পড়ায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে করে স্থানীয় বাজারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমদানিকারকদের ঋণ সহায়তা ও পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক হ্রাস করা হলে সাধারণ জনগণ এ অবস্থা হতে মুক্তি পাবে।

কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ^ব্যাপী ভোগ্য পণ্যের সাপ্লাই চেইনের উপর বেশি মাত্রায় চাপ পড়ায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে করে স্থানীয় বাজারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমদানিকারকদের ঋণ সহায়তা ও পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক হ্রাস করা হলে সাধারণ জনগণ এ অবস্থা হতে মুক্তি পাবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এ কথা বলেন।

গতকাল শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূলপ্রবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি আরমান হক।
ফজলে কবির বলেন, কোভিড মহামারি ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি সকল স্তরের জনগণের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এটি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু নীতিসহায়তার পাশাপাশি পণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা পরিলক্ষিত হলেও দেশের অর্থনীতি এখন ঘুঁড়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড সুকুক (সুকুক একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে সিলমোহর লাগিয়ে কাউকে অধিকার ও দায়িত্ব দেওয়ার আইনি দলিল।) প্রবর্তনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা যাবে। এ ব্যাপরে বাংলাদেশে ব্যাংক পরবর্তীত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে যুগোপযোগী সিদ্ধন্ত গ্রহণ করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ তহবিলের সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সক্ষমতা বাড়বে। তবে নেগোশিয়েশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।

তিনি জানান, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিডার সাথে একযোগে কাজ করছে। বিশেষ করে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার আরো উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যয় উল্লেখজনক হারে হ্রাস করা সম্ভব হবে।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, বিশ^ব্যাপী কোভিড মহামারী থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর-২০২১) বাংলাদেশের অর্থনীতির পথচলা বেশ আশাব্যঞ্চক। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নীতি-সহায়তা, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, লজেস্টিক অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং সর্বোপরি সাপ্লাই চেইনে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত অপরিহার্য।

সভাপতি বলেন, শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে আমাদের পাঠ্যক্রমের
যুগোপযোগীকরণ এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে মনোযোগী হওয়া একান্ত অপরিহার্য। কৃষিখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ঘোষিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের মধ্যে অন্তত একটিকে কৃষিখাতে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন