প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রতিকূলতা কাটিয়ে পাইকগাছায় হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে। হলুদ ক্ষেতে সার কীটনাশক ছিটানোসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত জমি থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।
হিতামপুর গ্রামের হলুদ চাষী সবুর হোসেন বলেন, তিনি প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় দুই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপন করেছেন।
তিনি বলেন, হলুদ চাষের জন্য এ বছরে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে পানি জমে থাকায় হলুদের ক্ষেত তৈরী করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে নানা রকম পরিচর্যার পরে হলুদের আবাদ ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, হলুদ একটি লাভ জনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ চাষীদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে প্রভাবে হলুদের আবাদে কিছুটা প্রভাব প্রড়েছে। তবে এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আনন্দবাজার/এম.কে/ই.হ