বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি নাই, বিপাকে পাট চাষিরা

রৌমারী-রাজিবপুরে পাট কাটা শুরু হয়েছে। পাট কেটে ক্ষেতের পাট ক্ষেতে রেখেই শুকিয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় বিপাকে পড়েছে পাট চাষি কৃষকরা।

দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষি নেই বললেই চলে যার ফলে পাট কোষতের আশেপাশে এসময় জমে থাকার কথা ছিলো বৃষ্টির পানি। আর সেখানে এসময় এখন জমে থাকা এক ফুটা পানিও দেখা যায়নি ফলে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে বিভিন্ন উপায়ে পাট পচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এঅঞ্চলের পাট চাষি কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দুই উপজেলার পাট ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে পাট চাষিদের দূর্ভোগের চিত্র গুলো। অনেকেই আগাম পাট কেটে সামান্য পানিতে পাট জাগে ফেলেও পচাতে হিমসিম খাচ্ছে। অপরদিকে সামান্য পানিতে পাটে সোনালী রংয়ের ক্লার নষ্ট হয়ে কালো রংয়ে রুপ নিচ্ছেন চাষিদের পাট। পাটের সোনালী আষের রং যখন কালো হয় তখন কিন্ত পাটের মূল্য কমে যায়। রৌমারী- রাজিবপুরের পাট চাষি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে পাট বোপনের শুরু থেকেই এঅঞ্চলে বৃষ্টি ছিলনা। অবশেষে ডিজেল চালিত শ্যালো মিশিন দ্বারা পানি দিয়ে এসব পাটের আবাদ করা হয়েছে পাশাপাশি পাটের ফলনও ভালো কিন্ত পানির অভাবে দিশেহারা এঅঞ্চলের পাট চাষিরা।

এবিষয় পাট চাষি কৃষক বাদুল, মহব্বত আলী,রকিবুল হক,ইজ্জত আলীসহ আরও অনেক কৃষকের সঙ্গ কথা বলেছি তারা বলছেন যেহারে পাট চাষে খরচা হয়েছে সেহারে সরকার যদি পাটে মূল্য না দেয় তাহলে এই সোনারী রংয়ের পাট আমরা আর চাষ করতে পারবো না। কারন জমির আশেপাশে কোন প্রকার পানি নেই এককিলো দুই কিলো দূরে মাথায়,গাড়িতে করে বহন করতে হচ্ছে ফলে খরচা অনেক বেশি যার ফলে সরকারের কাছে পাটের মূম্যের জন্য জোর দাবী কৃষকদের।

আরও পড়ুনঃ  তিন গুণ বেড়েছে দেশের চা উৎপাদন

এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানান রৌমারী উপজেলা প্রায় ২৫০০ হেক্টর জমিতে পাটে আবাদ হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আশা করি পাটের বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা। রাজিবপুর কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন আমার উপজেলায় প্রায় তিনহাজার ক্টের জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন। দুই উপজেলায় সাড়ে পাচহাজার হেক্টর জমিতে পাটের বাম্পার ফলন হলেও পানির অভাবে শান্তি নেই কৃষকদের এমনটি জানিয়েছে তারা।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন